ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) আইসিটি দপ্তরে জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) শূন্য পদে অধস্তনদের কাউকে অতিরিক্ত দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আগের জিএম মো. রবিউল হাসান নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি এণ্ড প্রকিউরমেন্ট) পদে যোগদান করায় পদটি ফাঁকা হয়। প্রকৌশলী বা কর্মকর্তারা যে কোন পদে পদোন্নতি পেলে বা অবসরে গেলে ওই পদটিতে অধস্তনদের মধ্য থেকে একজনকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পূর্ণাঙ্গ নিয়োগের আগপর্যন্ত কাজ চালিয়ে নেয়া হতো। কিন্তু এখানে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা।
নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি এণ্ড প্রকিউরমেন্ট) পদে সদ্য যোগদান করা মো. রবিউল হাসানকেই এই অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচ আর) মোহাঃ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়। এ নিয়েই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
অফিস আদেশে বলা হয়, 'জনাব মো: রবিউল হাসান ডিপিডিসি'র নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি ও প্রকিউরমেন্ট) পদে অদ্য ২৬-০৫-২০২৫ খ্রি. তারিখে যোগদান করায় জেনারেল ম্যানেজার (আইসিটি, এনার্জি এন্ড মিটারিং) পদটি শূন্য রয়েছে। কাজের স্বার্থে জেনারেল ম্যানেজার (আইসিটি, এনার্জি এন্ড মিটারিং) পদটি পূরণ না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আইসিটি দপ্তরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-গণ সরাসরি নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি ও প্রকিউরমেন্ট) এর নিকট নথি উপস্থাপন এবং রিপোর্ট করবেন। উল্লেখ্য, আর্থিক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ডেলিগেশন অব ফিনান্সিয়াল পাওয়ার অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
এছাড়াও, জেনারেল ম্যানেজার (আইসিটি, এনার্জি এন্ড মিটারিং)- দপ্তরে কর্মরত এমপ্লয়ি-গণের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ ও সংস্থাপন ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে নির্বাহী পরিচালক (আইসিটি ও প্রকিউরমেন্ট) মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ব্যবস্থা গৃহীত হবে।'
ওই আদেশে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মিটারিং) ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রোটেকশন) কার কাছে প্রতিবেদন দিবেন, তা উল্লেখ করা হয়নি। এতে আদেশটি ঘিরে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষুব্ধ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা বলছেন, আইসিটি দপ্তরে দুইজন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রয়েছেন। একজন হলেন মো. ইমলাক হোসেন (আইসিটি রাজস্ব) ও অন্যজন কামরুল আহসান (আইসিটি উন্নয়ন)। কর্তৃপক্ষ চাইলেই এই দুজনের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম চলমান রাখতে পারত। এতোদিন এমনটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে ডিপিডিসির প্রশাসন (এইচআর) দপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার কূটচালে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে।
তাঁরা আরো বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণের যে রায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ দিয়েছেন, তা কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের নানাবিধ টালবাহানা চালু রয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবারের অফিস আদেশটি তারই প্রতিফলন।
এদিকে, ডিপিডিসির সাবেক কয়েকজন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা বাংলা স্কুপকে জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনও ডিপিডিসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ঘাপটি মেরে রয়েছে। এদের কারণেই দীর্ঘদিন যাবত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি হচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই দোসরদের দ্রুত উৎখাত করা না হলে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অ্যাডমিন ও এইচআর) সোনামণি চাকমাকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
পদ ফাঁকা, তবু নেই পদোন্নতি!
অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
আদালতের রায় মানছে না ডিপিডিসি!
মেধা ও যোগ্যতা নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি